রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা কমিটি গঠনে সভা

84

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ :
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মনা সনাতনীদের উদ্যোগে শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্দির ও আশ্রমের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। আলোচনায় বক্তারা বলেন, রমনা কালী মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং এটি বাঙালি হিন্দু সমাজের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক শক্তির কেন্দ্র। এ প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী ও প্রতিনিধিত্বমূলক পরিচালনা কমিটি অপরিহার্য।
আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অপর্ণা রায় দাসকে সভাপতি এবং মিল্টন বৈদ্যেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে একটি আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ কমিটি ভবিষ্যতে মন্দির ও আশ্রমের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং সামাজিক কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করবে।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিজন কান্তি সরকার, তপন মজুমদার, রমেশ দত্ত, সুভাষ চন্দ্র দাস,তরুণ দে, মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব, গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, রাম প্রসাদ পাল, বিশ্বজিৎ ভদ্র, সমীর সরকার, সুবীর দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী চেতনা ধারণ করে সনাতনী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এ ধরনের সাংগঠনিক উদ্যোগ সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রমের ঐতিহ্য রক্ষা, দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সনাতন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নবগঠিত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভা শেষে নবনির্বাচিত সভাপতি অপর্ণা রায় দাস বলেন, “এ দায়িত্ব আমার জন্য গৌরবের। সকলের সহযোগিতায় আমরা মন্দির ও আশ্রমকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।” সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য বলেন, “এটি শুধু একটি কমিটি নয়, বরং আমাদের সনাতনী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব।”
উল্লেখ্য, রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম বহুদিন ধরেই ঢাকার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ মন্দিরের সাথে জড়িত সনাতনী জনগোষ্ঠী সবসময় একটি কার্যকর পরিচালনা পরিষদ প্রত্যাশা করে এসেছে। তাই জাতীয়তাবাদী মনা সনাতনীদের এই উদ্যোগ সবার কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।