বন্দীদের সংশোধনের জন্যই কারাগরগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করা হচ্ছে –ধর্ম উপদেষ্টা

25

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  : বৃহস্পতিবার ২৪-০৭” ২০২৫ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম, খালিদ হোসেন বলেছেন, বন্দীদের সংশোধনের জন্যই দেশের কারাগার গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। কারাগার গুলোতে যারা আসে তারা যেন এখানে সংশোধিত হতে পারে এই ব্যবস্থা আমরা করতে যাচ্ছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ এসে দেখলাম এখানে নানা ধরনের কর্মযজ্ঞ চলছে। এখানে তাতের ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ বেনারসি শাড়ি তৈরি করছে। এখানে জিমনেশিয়াম এর ব্যবস্থা রয়েছে। খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। কম্পিউটার ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব বন্দিদের এখানে কাজে লাগাতে হবে। তাদের এক জায়গায় বন্দি রাখলে তাদের মন মানসিকতা আরো নষ্ট হয়ে যাবে এবং তাদের মাথায় খারাপ বুদ্ধি জমবে। আমরা চাচ্ছি কাজের পাশাপাশি তাদেরকে ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । আমরা চাচ্ছি জেলখানা থেকে বের হয়ে যেন তারা ভালোভাবে চলতে পারে। জেলখানায় যারা ঢুকে তারা যেন তাদের পুরনো অপরাধ পরিহার করে ভালো হয়ে সমাজে বসবাস করতে পারে ।তিনি আজ বিকেল পাঁচটায় কেরানীগঞ্জ কারাগার পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন কেরানীগঞ্জে কারাগারে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ২৪১৭ জন কুরআনের ছবক নিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কুরআন খতম করেছে ২৫০০ জন। বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরবি শিখছেন ৬৩ জন। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। এই কার্যক্রম আরো বৃদ্ধির জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে বড় ধরনের কোন মসজিদ নির্মাণ করা যাচ্ছে না। কারণ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই বন্দীদের তাদের রুমে যেতে হয় এবং সূর্য উদয়ের পরে তাদেরকে রুম থেকে বের করতে হয়।এখানে প্রায় সাড়ে আট হাজারের বেশিবন্দি রয়েছে। মুসলমান বন্দিদের পাশাপাশি সনাতন ধর্মের বন্দী ও রয়েছে। সব বন্দীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাদেরকে আলাদা আলাদা ভাবে ধর্মীয় বই-পুস্তক এখানে দেওয়া হবে। বইয়ের প্রথম চালান আমরা কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম দেব। ধর্ম উপদেষ্টা ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন তিনটায়ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে এসে পৌঁছান। এ সময় তাকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। পরে তিনি কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন কার্যক্রম সহ বিভিন্ন কারওয়াড তিনি পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহের হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর,ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার, জেল সুপার এ কে এম মাসুদ প্রমূখ।